কবিতা

অশ্রুপাত
-শামীম নিমু✍️

মাঝ রাতে আমি বালিশ খুঁজছি,
অথচ বালিশটা আমার মাথার নিচেই পড়ে আছে;
শুধু বালিশের কাভারটা ভিজে গেছে!
কতো বড়ো একটা বাড়ি! রয়েছে পাঁচ সাতটা ঘর;
প্রত্যেকটা ঘরেই রয়েছে নকশাকার আসবাবপত্র,
নেই শুধু ঘরের মানুষ!
এতো বড়ো বাড়িতে শুধুমাত্র আমি একাই থাকি।
রাতে কিম্বা দিনে- যখন কোনকিছুই ভালো লাগতো না,
অমনি সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদের উপর উঠে পায়চারি করে বেড়াতাম, এবং
ঐ সময় লক্ষ্য করেছিলাম-
ছাঁদের কোনখানে ফাটল অথবা কোনো একটি ছিদ্রও ছিল না।
নক্ষত্র ভরা রাত,
আজ রাতে ঝড়-বৃষ্টিও হয়নি,
ভাবছি, তবুও কিভাবে বালিশের কভারটা ভিজলো!
তবে কি কেউ এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে?
কিন্তু কিভাবে? অসম্ভব, এটা কখনো হতেই পারে না!
কতো নীরব রাত্রি,
বাড়ির ভিতরে বা বাহিরে কারো কোনো সাড়াশব্দও নেই,
অনুমতি ছাড়াই অমনি কেউ একজন এসে ঘরে প্রবেশ করতে পারে..
সেটিও কারো পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ-
প্রত্যেকটা ঘরের দরজা জানালা গুলো সব বন্ধই থাকে;
অথচ- ভাবতেই অবাক লাগছে, ভেজা বালিশ,
মাথার চুলগুলিও সব ভিজে গেছে!
ভীষণ অস্থির লাগছিল,
বিছানা থেকে উঠে- ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম,
আয়নার ফলকে মাথার চুলগুলি মুছতে গিয়ে দেখতে পেলাম-
দু’চোখের সাদা অংশে ফুটেছে দুটি লাল গোলাপ।

রচনাকালঃ ২৭-০৩-২০২৪ইং।

Leave a Comment